East Bengal : ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ, গ্রেপ্তার ৪
অনেক ইতিহাসের সাক্ষী কলকাতা ময়দানের লেসলি ক্লদিয়াস সরণি। অনেক লালহলুদ সমর্থকের চোখের জলে সিক্ত এই রাস্তা। আনন্দাশ্রুও কম নেই। ২১ জুলাই অন্য ঘটনার সাক্ষী থাকল এই লেসলি ক্লদিয়াস সরণি। ইস্টবেঙ্গলের দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের হাতাহাতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের লাঠিচার্জ। গ্রেপ্তার বেশ কয়েকজন সমর্থক। লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহনা করছেন ক্লাব কর্তারা। অন্যদিকে শ্রী সিমেন্টের কর্তারা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না করলে সামনের মরশুমের জন্য দল গঠন করবেন না। চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করার দাবি জানিয়ে এতদিন সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার ছিলেন সমর্থকরা। এবার তাঁরা সরাসরি পথে নেমে পড়ল। একদল সমর্থক আগেই জানিয়েছিল ২১ জুলাই ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন। সেই মতো বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা ১ টার আগে থেকেই লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে হাজির হন। শাসক গোষ্ঠীর সদস্যরাও হাজির হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে আগেই লালবাজারে বিক্ষোভের কথা জানানো হয়েছিল। তাই লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লালবাজার থেকে আরও পুলিশ বাহিনী হাজির হয়। বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠিচার্জ করার আগে, পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা না সরায় পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। ৪ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) আকাশ মাঘারিয়া বলেন,আড়াই ঘন্টা ধরে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। বারবার বলা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সরে যায়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্লাবের বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থকরা নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাবের সামনে দেবব্রত সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। শাসক গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রতিবাদ জানতেই ঝামেলা শুরু হয়েছিল। বিরোধী গোষ্ঠীর কর্তাদের দাবি, শাসক গোষ্ঠীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে নীলসাদা রিবন পরানো হয়েছিল। পুলিশ মোতায়েন থাকায় বড় কোনও অশান্তি হয়নি। তবে কয়েকজন সমর্থক জখম হয়েছেন।